Header Ads

মুগ্ধ হোন যাদুকাটার যাদুতে

নীল আকাশের ছায়াতলে সবুজ পাহাড় আর পাহাড়ের ঘেঁষে বয়ে গেছে রুপসী এক নদী!! বলছি যাদুকাটা নদীর কথা। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় যার অবস্থান। সেখানকার প্রকৃতির সৌন্দর্য প্রতিনিয়ত পর্যটকদের কাছে টানে। জেলা সদর থেকে ৩০ কি.মি. দূরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কূলঘেঁষা সুনামগঞ্জ জেলার হাওড় উপজেলা তাহিরপুরের লাউড়ের গড়ে অবস্থিত যাদুকাটা নদী। মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড় হতে বয়ে চলা এই নদী প্রায় বিশ মাইল পর্যন্ত গিয়ে সুরমাতে এসে মিলিত হয়েছে 'রক্তি' নামে। নদীর এক পাড়ে দেখা যায় খাসিয়া পাহাড় আর আরেক পাড় সবুজ বৃক্ষে ঘেরা বারেক টিলা।

আকাশের নীলিমা আর পাহাড়ের সবুজের প্রতিচ্ছবি যেন ভেসে উঠে যাদুকাটা নদীর স্বচ্ছ জলে। সূর্যের আলোকছটায় আরো রুপ ধারন করে যেন পাহাড়ি এই নদী। ভরা বর্ষায় নদী ফুলে ফেঁপে উঠে।বর্ষায় নদীর সৌন্দর্য আরেক মাত্রা ধারন করে আর সে সৌন্দর্য অবলোকন হাতছাড়া করে না ভ্রমনপিপাসুরা। শীতেও ঘুরে আসা যায় সৌন্দর্যময় এ জায়গায়। তবে শীত বা হেমন্তে নদী শান্ত রূপ ধারণ করে। এ সময় নদী-পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য প্রকৃতিতে যোগ করে মুগ্ধতার আবেশ। 

এই যাদুকাটা নদী ও এর আশপাশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং সেই সঙ্গে লাউড়ের গড়ে শাহ-আরেফীনে মাজার ও সংলগ্ন নো-ম্যান্সল্যান্ড পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ভাল হওয়ায় বর্তমানে পর্যটকরা প্রায়ই ভিড় করেন তাদের পরিবার-বন্ধুদের নিয়ে।

বারেকটিলাঃ
বারেকটিলা সংলগ্ন এই যাদুকাটা নদী,খাসিয়া পাহাড আর নীল আকাশের নীলিমাতে মুগ্ধ হয়ে যায় পর্যটকেরা। 

এই জাদুকাটা নদীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে রয়েছে তিনশত ফুট উঁচু বারেকটিলা। আঁকাবাঁকা  পাহাড়ি উঁচু পথ পাড়ি দিয়ে বারেকটিলার ওপরে উঠলে চোখে পড়বে ঘন সারিসারি ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছসহ বিভিন্ন গাছের সবুজের সমাহার। এছাড়া সেখানে রয়েছে সীমান্ত প্রহরী বিজিবির ওয়াচ টাওয়ার, যেখান থেকে পুরো পাহাড়ঘেরা যাদুকাটা নদীর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।

যেভাবে যাবেনঃ
প্রথমে বাংলাদেশের যে-কোন স্থান থেকে সুনামগঞ্জ শহর আসতে হবে। তারপর সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি, কার বা মোটর-সাইকেল করে লাউয়ের গড় হয়ে চলে যান গন্তব্য স্থানে। সাধারনত পর্যটকেরা এখানে অবস্থান করেন না,তাই থাকার বা খাওয়াদাওয়ার কোন তেমন সুবিধা নেই এখানে। অনেকে তাবু গেড়ে অবস্থান করেন নদীর সৌন্দর্য উপভোগের জন্য। তবে সুনামগঞ্জ শহরে থাকার আর খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা আছে ভালই।

ছবি কৃতজ্ঞতা স্বীকার: ইন্টারনেট

No comments

Powered by Blogger.